ঢাকা, ৮ মে: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জাতীয় কর্মসূচি। এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে জাতির চেতনায় স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। শুধু সংগীতই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার কবিতা ও গান বাঙালির মাঝে সৃষ্টি করেছিল সাহস ও অনুপ্রেরণার অদম্য জোয়ার।
বাংলা সাহিত্যের এই কালজয়ী পুরুষের জন্মের একশ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বাঙালির জীবন, সংস্কৃতি ও মানসে তার প্রভাব এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তার সাহিত্যকর্মে মানুষের আবেগ, অনুভূতি, আনন্দ, বেদনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ পাওয়া যায় অসামান্য শৈলীতে। সংকটে, দুঃখে কিংবা উৎসবে—তার কবিতা ও গান এখনো মানুষের প্রেরণার উৎস।
বিশ্বসাহিত্যে তার অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি, যা এশিয়া মহাদেশের জন্য ছিল এক ঐতিহাসিক অর্জন।
রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ২৫ বৈশাখ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের ঐতিহাসিক রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আজ শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ২৭ বৈশাখ পর্যন্ত (৮, ৯ ও ১০ মে)। এই আয়োজনে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা। অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেতনা ও সৃষ্টিকে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।